পাঠক
ছবি : আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম স্বপন (সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সহ-সভাপতি,শেরপুর জেলা বিএনপি)
ভৌগোলিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে সারাদেশে বিশেষ করে ময়মনসিংহ বিভাগে শেরপুর জেলার গুরুত্ব অপরিসীম।রাজনৈতিকভাবে,শেরপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র নীতি-আদর্শের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া কিংবা শেরপুরের মাটিতে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে যেসব ব্যক্তিবর্গের অবদান,তাদের অন্যতম হচ্ছেন আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম স্বপন। ‘বিএনপি নেতা স্বপন’- ছাত্র,যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত,জেলার এমন কেউ নেই যে,এ নামে তাকে চিনে না কিংবা এ নাম শুনেনি। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, সামাজিকভাবেও বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী সাইফুল ইসলাম স্বপন। সাইফুল ইসলাম স্বপনের রাজনীতিতে হাতেখড়ি ঘটে বিএনপি প্রতিষ্ঠারও পূর্বে জাগদলের ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের মাধ্যমে। নবগঠিত এই ছাত্র সংগঠনের শেরপুর জেলা শাখার ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী আর্দশের চিন্তা-চেতনা শেরপুরের ছাত্র সমাজের কাছে পৌঁছে দিতে,তরুণ ছাত্রনেতা স্বপনের ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। ছাত্র রাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে যুব রাজনীতিতে পদার্পণ করে তুখোর ছাত্রনেতা স্বপন। দল তার প্রতি আস্থা ও ভরসা রেখে পরবর্তীতে তাকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও অর্পণ করে। জেলার যুব সমাজের ভিতর জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ছড়িয়ে দিয়ে যুব নেতৃত্বের বিকাশে এবং দলকে শেরপুরের বুকে একটি মজবুত অবস্থানে দাঁড় করানোর পিছনেও অগ্রণী ভূমিকা ছিলো স্বপনের।পরবর্তীতে যুব রাজনীতি থেকে স্বপন শেরপুর শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ও দলকে আরো সুসংগঠিত করেন এবং শহরবাসীর মনিকোঠায় স্থানও করে নিয়েছিলেন তার উদার-মানবিকতার গুণের দ্বারা। এরপরে তিনি জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক,সহ-সভাপতি ও যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন ৷বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামলে বহু মিথ্যে মামলা, হামলা ও নির্যাতনের স্বীকারও হতে হয়েছে তাকে।এমনটাও হয়েছে মিথ্যে মামলায় জেলে গিয়ে,ঈদগুলো পর্যন্ত পালন করতে হয়েছে জেলে।বহু ত্যাগ ও সংগ্রাম করে দলকে একটা শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করানোর পেছনেও তার বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে,যা বিএনপি নেতাকর্মীরা জানে এবং আজও তার অবদানের কথা স্বীকার করে।জেলা বিএনপির সবশেষ কাউন্সিলে ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদে একজন বলিষ্ঠ প্রার্থীও ছিলেন তিনি। বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে কমিটিতে দায়িত্ব পালনকালে, কেন্দ্র থেকে নোটিশ প্রদান পূর্বক এই ত্যাগী,দুর্দিনের কাণ্ডারী বিএনপি নেতা স্বপনের দলীয় পদ স্থগিতাদেশ করা হয়। তবে গুঞ্জন রয়েছে যে-কিছু লোভী, সুবিধাবাদী ও চক্রান্তকারী নেতাকর্মীরা নানা মিথ্যে গুজব ও চক্রান্তের মাধ্যমে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ ও অভিযোগ প্রদানের মাধ্যমে তার দলীয় পদ স্থগিতাদেশ করায়। কিন্তু এতদসত্ত্বেও দলীয় নীতি ও আদর্শ থেকে তিনি কখনোই সরে আসেননি। বরাবরই নেতৃবৃন্দের পাশে থেকে যেকোনো বিপদে-আপদে এগিয়ে এসেছেন। মিথ্যে মামলায় জেলবন্দি নেতাকর্মীদের জামিন করানো সহ যেকোনো প্রয়োজনে তিনি ছিলেন সকলের আশ্রয়স্থল। সম্প্রতি শেরপুর জেলায় ভয়াবহ বন্যা হলে,বানভাসিদের জন্যে জেলা সদর সহ ৪টি উপজেলার প্রায় দেড় হাজার পরিবারের জন্যে খাদ্য সামগ্রী ও জরুরী ঔষধ বিতরণ সহ পুনর্বাসনে এগিয়ে আসেন এই বিএনপি নেতা।
তার কথা প্রসঙ্গে প্রবীণ এক বিএনপি নেতা বলেন- ❝সাইফুল ইসলাম স্বপন,আশিষ চেয়ারম্যান ও বাদশা-ওনারা শেরপুর জেলা বিএনপির প্রাণ ছিলেন,তাদের অবদান মানুষ আজও স্মরণ করে।আশিষ চেয়ারম্যান,ফজলুল হক বাদশা মারা গেলেও স্বপন সাহেব এখনো জীবিত।একজন ত্যাগী,পরিশ্রমী,কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে-তাকে আবারো আমরা বিএনপির রাজনীতিতে দেখতে চাই।❞ সাবেক এক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা বলেন- ❝স্বপন সাহেবকে বিএনপি নেতা হিসেবে শুধু শেরপুরবাসী নয়,বৃহত্তর ময়মনসিংহের সকল নেতৃবৃন্দই চিনে।দলের জন্য তার ত্যাগ ও অবদানকে মানুষ আজও স্মরণ করে।❞
শেরপুরে বিএনপির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম স্বপন সহ ত্যাগী নেতা কর্মীদের দলীয় পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে,সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা হোক- এমনটাই দাবি শেরপুরের বিএনপির তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের।
মতামত