পাঠক
ছবি : প্রতীকী ছবি/সংগৃহীত
ব্যক্তিগত, ব্যাবসায়িক কিংবা দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজে জিমেইল আমাদের দৈনিন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তবে ভাইরাস অ্যাটাক, হ্যাকিং, স্প্যাম সবমিলিয়ে ইমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখাও বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।
ইদানিং আবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে জিমেইল ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে প্রতারকরা।
সম্প্রতি গুগল সতর্ক করে জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে গুগলের নাম ব্যবহার করে এআইয়ের মাধ্যমে ভুয়া ফোনকল করার পাশাপাশি ই–মেইলও পাঠাচ্ছে তারা। এছাড়া “জিমেইল অ্যাকাউন্ট রিকভারি”র নামে সাইবার প্রতারণা শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নিচ্ছে প্রতারকরা।
অনেক জিমেইল ভ্যাবহারকারীর মেইলে অথবা ফোনে নোটিফিকেশন আসছে। সেখানে লেখা থাকছে, যে জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়ে গিয়েছে। অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে একটি লিংকে ক্লিক করতে বলা হচ্ছে। গুগল জানিয়েছে, গ্রাহক যদি সেই লিংকে ক্লিক না করেন, তাহলে কল আসছে গ্রাহকের ফোন নম্বরে। সেখানে একেবারেই পেশাগতভাবে গ্রাহককে বোঝানো হচ্ছে কীভাবে তার জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে এবং সেখানে নানা রকম সন্দেহজনক কাজকর্ম চলছে।
হ্যাকারেরা নিজেদের গুগলের কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছে। এমনভাবে গ্রাহককে বোঝানো হচ্ছে যে, অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলছেন। জিমেইল অ্যাকাউন্ট রিকভারি-র নামে সেই ভুয়ো লিংক ক্লিক করলেই গ্রাহকের জিমেল অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে যাচ্ছে। এরপর বলা হচ্ছে, অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের আবেদনে সম্মতি দিতে। সেখানে ক্লিক করতেই গ্রাহকের জিমেইল তো বটেই, জিমেইল আইডি দিয়ে খোলা যাবতীয় অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণও চলে যাচ্ছে প্রতারকদের দখলে।
এই ফাঁদ থেকে বাঁচতে হলে কোনো অজানা লিংকে ক্লিক করা যাবে না। প্রতারক যতই অনুরোধ করুন না কেন, কোনোভাবেই সেই লিংকে ক্লিক করবেন না।
কেউ যদি ফোন করে জানায়, সে গুগলের অফিস থেকে ফোন করছে, তাহলে সে কথায় বিশ্বাস করবেন না। গুগল জানিয়েছে, কখনওই সংস্থা থেকে ফোন করা হয় না। একমাত্র গুগল বিজনেস সার্ভিসের সঙ্গে যোগ রয়েছে বা পেশাগতভাবে গুগলের সঙ্গে যুক্ত, এমন লোকজনকেই সংস্থার তরফে ফোন করা হতে পারে।
প্রতারণা থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর জিমেইল অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি সেটিংসে গিয়ে পরিবর্তন করতে হবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় পরপর পাসওয়ার্ডও বদলে নিন।
গুগলের নামে কোনো মেইল এলে সেটি আদৌ গুগলের অফিশিয়াল সাইট থেকে এসেছে কি-না, তা যাচাই করে নিন। গুগল সব সময়ে তাদের নিজস্ব ডোমেইন থেকেই মেইল পাঠায়। নিজে যাচাই করতে না পারলে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
সাইবার হামলা থেকে বাঁচতে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রাখুন। এই সুবিধা চালু থাকলে পাসওয়ার্ড লেখার পর ব্যবহারকারীর ফোনে বার্তা বা কোড পাঠানো হয়। কোডটি ব্যবহার করেই শুধু অ্যাকাউন্টে ঢোকা যায়। এর ফলে হ্যাকারেরা পাসওয়ার্ড হ্যাক করে নিলেও জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকে।
মতামত