পাঠক

জাতীয়

রাখাইনে মানবিক করিডোর; বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি

প্রিন্ট
রাখাইনে মানবিক করিডোর; বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ‘একটি হিউম্যানিটারিয়ান প্যাসেজ বা মানবিক করিডরের’ বিষয়ে নীতিগত সম্মতির কথা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এমন সিদ্ধান্ত কারা, কোথায়, কোন প্রক্রিয়ায় এবং কিসের ভিত্তিতে নিচ্ছে, সেই বিষয়ে বিভিন্ন মহলে থেকে প্রশ্ন উঠছে। খবর বিবিসি বাংলা।


বিশ্লেষকদের অনেকে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে কি-না সেই প্রশ্নও তুলেছেন।


তাদের মতে, দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া এবং একই সঙ্গে মিয়ানমারে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মি ছাড়াও মিয়ানমারে প্রভাব আছে- এমন আঞ্চলিক সব পক্ষ একমত না হলে প্রস্তাবিত করিডরটি বাংলাদেশের জন্য সামরিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।


নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো মানবিক করিডরের জন্য বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলের অনেক জায়গাই ব্যবহার করতে পারে।


আবার রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছেন, এমন গবেষক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে, এমনকি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে কোনো আলোচনা হয়েছে- এমন কোনো ইঙ্গিত তারা পাননি।


চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ অবশ্য বলছেন, প্রস্তাবিত মানবিক করিডরের ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘের হাতে থাকলেও এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই থাকতে হবে, যাতে করে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ নিজেই তা বন্ধ করে দিতে পারে। অন্যথায় বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে না এমন কিছুও সেখানে ঘটে যেতে পারে।


এদিকে মানবিক করিডর নিয়ে এমন আলোচনার মধ্যেই ঢাকায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি দলের সঙ্গে আলোচনায় শনিবার একটি রাজনৈতিক দল রোহিঙ্গাদের জন্য ‘স্বাধীন আরাকান’- প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব তুলে ধরেছে বলে জানা গেছে।