বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় বিয়ের দাবীতে মাদ্রাসা শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম (২৫) এর বাড়িতে অনশনরত রয়েছে এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৯ অক্টোবর) জেলার মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের মির্জাপুর (বটতলা) গ্রামে। অভিযুক্ত মাজেদুল সাতক্ষিরা ইন্টারন্যাশনাল হেফজুল কুরআন মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে মির্জাপুর (বটতলা) গ্রামের জনৈক গৃহবধু (২০) কে একই গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে মাজেদুল ইসলাম জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় মাতব্বরা শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রাম্য শালিস বসানোর চেষ্টা করে। এতে মাজেদুল বা তার পরিবারের কোন লোকজন সেখানে উপস্থিত হননি। শ্বশুরপক্ষের পরিবারের চাপে ওই গৃহবধু শনিবার সকালে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হন। এরপর সে মাজেদুলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন করতে থাকে। মাজেদুল ইসলাম কয়েকদিন আগে ছুটিতে সে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জায়েদা বেওয়া বলেন, ওইদিন দুপুরে তাদের দুইজনকে অনৈতিক কাজ করতে দেখেন তিনি। পরে স্থায়ীয় আরো কয়েক জন সেখান থেকে তাদেরকে চলে যেতে দেখে।
স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. তোফাজ্জল হোসেন, আশরাফ আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মাজেদুল ইসলাম একজন হাফেজ হলেও তার বিরুদ্ধে মাদকসেবন, চুরি, নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধু বলেন, গত বুধবার দুপুরে মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুরে কাপড় কেচে মাদ্রাসার কাটাতারের বেড়ায় শুকাতে দিয়ে আসার সময় বিয়ের প্রলোভনে মাজেদুল ইসলাম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হলে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হই।
এ বিষয়ে মাজেদুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন পান কিনতে মোড়ের দোকানে গিয়েছিলাম। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় প্রস্বাব করার জন্য দোকানের পিছনে যাই।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাশমত আলী বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতামত